খ্রিষ্টান সন্ন্যাসিনীদের (নারী ধর্মযাজক) যৌন নিগ্রহের সঙ্গে বিশপ ও পাদ্রীদের অনেকে জড়িত রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে ভ্যাটিকানে ফেরার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা স্বীকার করেন তিনি।
গত সপ্তাহে ভাটিকান থেকে প্রকাশিত নারী বিষয়ক এক পত্রিকায় যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ তোলা হয়। ‘ওমেন চার্চ ওয়ার্ল্ড’ নামের পত্রিকাটি বলেছে, যৌন নিগ্রহের পর সন্ন্যাসীদের গর্ভপাতের জন্য চাপও দেয়া হয়।
গত বছর ভারতের কেরালায় এরকম একটি ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তার আগেও একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কেরালার ক্যাথলিক চার্চের এক বিশপের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তখন। নির্যাতিতা দাবি করেন, একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, আমার মনে হয় এ ধরনের ঘটনা এখনও ঘটছে। পাশাপাশি তিনি জানান, এসব যাতে বন্ধ করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নারীদের সুরক্ষা দিতে তারা বদ্ধপরিকর।
‘ওমেন চার্চ ওয়ার্ল্ড’ এর চলতি সংখ্যায় বলা হয়েছে, একাধিক ঘটনার পর নির্যাতনের শিকার মহিলারা চুপ থেকেছেন। কখনও বা চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আফ্রিকার একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। নয়ের দশকে আফ্রিকায় এ ধরনের অনেক অভিযোগ ওঠে কিন্তু তার উপর ভিত্তি করে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কেরালার মুলাক্কালের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২১০৮ সালে। নির্যাতনের শিকার মহিলারা দাবি করেন ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বার তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত বিশপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার আগে চার্চের দায়িত্ব থেকেও অব্যহতি দেওয়া হয় তাকে। তবে প্রথম থেকেই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বিশপ। কিন্তু নিজের দাবিতে প্রথম থেকেই অনড় থেকেছেন নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলা।
Leave a reply