স্ত্রী চলে গেছেন বাপের বাড়ি। বাবা-মা, প্রতিবেশীরা তাকান আড় চোখে। ফোনের জ্বালায় রাতে ঘুমাতে পারেন না। দিনে বাইরে বের হলে শুনতে হয় অনেকের টিপ্পনী। জীবনটাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিএনজি চালক ইজাজুল মিয়ার।
শেষমেশ বাধ্য হয়েই চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির মামলা করেছেন হবিগঞ্জের তিনি। আজ রোববার জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ইজাজুল। প্রতারণার অভিযোগের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকার মানহানির এই মামলায় আসামি করা হয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমেদকেও।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ‘রাজনীতি’ সিনেমায় বিনা অনুমতিতে ইজাজুলের ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নম্বর ব্যবহার করেছেন অভিযুক্তরা। এর ফলে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ইজাজুল। স্ত্রী, পরিবার এবং পরিচিতজনের কাছে তাকে হেয় হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গত রোজার ঈদে ‘রাজনীতি’ ছবিটি মুক্তি পায়। ছবির ২৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের সময়ে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিজের মোবাইল নম্বর হিসেবে একটি নম্বর দেন নায়ক শাকিব খান। কিন্তু বাস্তবে এই মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করেন হবিগঞ্জের সিএনজি চালক ইজাজুল।
ইজাজুল জানান, সিনেমায় তার পুরো নাম্বারটি প্রকাশ হওয়ায় জুলাই মাসে মুক্তির পর থেকেই তার প্রচুর ফোন আসতে থাকে। সবাই তাকে শাকিব খান ভেবে কল দেয়।
ভুক্তভোগী ইজাজুল বলেন, আমি আসলেই শাকিব খান কি-না তা যাচাই করার জন্য তানিয়া নামে এক তরুণী কিছুদিন আগে খুলনা থেকে হবিগঞ্জ চলে আসেন। মা-বাবাকে না জানিয়েই তিনি আসেন। পরে তাকে গাড়িতে তুলে বিদায় দিয়েছি। এই খবর শুনে আমার বউ রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। তাকে কিছুতেই বোঝাতে পারিনি। নিজের বাবা-মা এবং প্রতিবেশীরাও তাকে অবিশ্বাস করতে শুরু করেন বলে দাবি ইজাজুলের।
অতিষ্ঠ হয়ে গত মাসে বানিয়াচং থানায় জিডি করেছিলেন ইজাজুল। এরপরও ফোন আসা বন্ধ না হওয়ায় আজ রোববার আদালতে মামলা করলেন তিনি।
Leave a reply