নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার পূর্বধলায় নৌকা ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থী সর্মথকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পূর্বধলা উপজেলা সদরের মধ্যবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) মাসুদ আলম টিপুর সমর্থক এখলাছের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল লোক শনিবার বিকেলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজনের (নৌকা প্রতীক) সমর্থক প্রদীপ (৩৬) ও জুয়েল (৩৮) এর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে।
আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেকহা) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করলে সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালাতে গেলে আনারস প্রতীকের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক তারা মিয়া আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মাঝে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এমন অবস্থায় বিকেলে ও সন্ধার পরে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও গত ৪-৫ দিন ধরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আনারস প্রতীকের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী অফিস ভাংচুরসহ তাদের কর্মীদের ওপর বল প্রয়োগ করে কোনঠাসা করার জন্য কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে বলে জানান, আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ আলম টিপু। তিনি বলেন আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মাঠ থেকে সরানোর জন্যই তারা দফায় দফায় আমার লোকজনের ওপর বিভিন্ন জায়গায় হামলাসহ আমার অফিস ভাংচুর করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে।
অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন জানান, তার তিন সমর্থকের উপর পুলিশের সামনে অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়েছে । আহতদের ময়মনসিংহে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রিটার্নিংকর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ বিল্লাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় উপজেলা সদরে এখনও দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a reply