বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় নিহত পলাশের মরদেহ সনাক্তের পর নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের গ্রামের বাড়িতে। সকাল ৯.৩০ দিকে দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এরআগে, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহত পলাশের বাবা। শনাক্তের পর যাচাই বাছাই শেষে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন।
এসময় পলাশের চাচা বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের মত এত বড় ঘটনা পলাশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর পেছনে বড় কারো ইন্ধন থাকতে পারে। পরবর্তীতে সকল প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্যেশে রওনা হন তারা।
উল্লেখ্য গত রোববার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ক্রুসহ ১৪৮ যাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি। বিমানের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে, তখন পলাশ পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে উড়োজাহাজটি জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের পর পরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। পরে কমান্ডো অভিযানে পলাশ নিহত হয়, ছিনতাইয়ের ঘটনার অবসান হয়।
Leave a reply