শাহরিয়ার নাফীসের ফিফটি গড়া ম্যাচেও পরাজয়ের শঙ্কায় ছিল লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। আর সেই শঙ্কা কাটিয়ে শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ে ফেরান মুক্তার আলী।
৬৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে আসিফ আহমেদ রাতুলকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রান যোগ করেন শাহরিয়া নাফীস। ৫৬ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন রাতুল। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটার রিশি ধাওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৪৭ রানের জুটি গড়েন নাফীস। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথেই ছিল রুপগঞ্জের দলটি।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য রুপগঞ্জের প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ১৩ রান। ৪৯তম ওভারে মাত্র চার রানের খরচায় দুর্দান্ত খেলতে থাকা নাফীসের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ শরিফ। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাফীসের বিদায়ে বিপদে পড়ে যায় রুপগঞ্জ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান।
খেলার এই অবস্থায় রুপগঞ্জ এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন দুই দলই জয়ের স্বপ্ন দেখে ছিল। শেষ ওভারে ভারতীয় ক্রিকেটার চীরাগ জনির প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে মুক্তার আলীকে স্টাইকে পাঠান মোহাম্মদ শহীদ। দ্বিতীয় বলে ডট দেন জনি। ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করেন মু্ক্তার। পরের তিন বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। এক বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে রুপগঞ্জ।
শুক্রবার সাভার বাংলাদেশ ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপিতে) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ইয়াসির আলী। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে দুর্দান্ত খেলা ইয়াসির এদিন ৬৯ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় করেন ৬৫ রান। এছাড়া ৩৫ ও ৩৪ রান করেন শরিফুল্লাহ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৫০ ওভারে ২২০/৮ (ইয়াসির ৬৫, শরিফুল্লাহ ৩৫, ফজলে রাব্বি ৩৪)।
লিজেন্ড অব রুপগঞ্জ: ৪৯.৫ ওভারে ২২১/৭ (নাফীস ৫৯, আজমির ৩৮, আসিফ ৩৮; জনি ৩/৬৪)।
ফল: রুপগঞ্জ ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শাহরিয়ার নাফীস (রুপগঞ্জ)।
Leave a reply