নিরাপদে দেশে ফিরলেন ক্রিকেটাররা

|

নিরাপদে দেশে ফেরাটাই ছিল মূখ্য। শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই ঢাকার মাটি ছুঁয়েছেন মুশফিক-তামিমরা। দেশে ফেরার পর তাই এখন মূল আলোচনা নিরাপত্তা নিয়ে। নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কেমন ছিল- তা এখন অগুরুত্বপূর্ণ।

ক্রাইস্টচার্চে গতকাল দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় বদলে গেছে বাস্তবতা। শেষ টেস্ট বাতিল হওয়ায় নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা।

রাত ১০টা ৪২ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফসহ দেশে ফিরেছেন মোট ১৯ জন।

গতকাল জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয় ৪৯ জন। হ্যাগলি ওভালের খুব কাছের নূর মসজিদেই ঘটেছে হতাহতের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। যেখানে জুমার নামাজ আদায় করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলেরও। মিনিট পাঁচেকের জন্য হামলার শিকার হওয়া থেকে বেঁচে যান তামিম-মুশফিকরা।

ওই সময় ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকা দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট পরে ঘটনার বর্ণনায় বলেছিলেন, ‘মসজিদ আমরা বাস থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম। আমরা হয়তো ৫০ গজ দূরে ছিলাম। আর যদি ৩-৪ মিনিট আগে চলে আসতাম; তাহলে আমরা মসজিদেই হয়তো থাকতাম। হয়তো বিশাল, ভয়ানক একটা ঘটনা ঘটে যেতে পারত।’

৮-১০ মিনিট বাসে বসে থাকার পর নেমে হ্যাগলি পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে মাঠে ফিরে ড্রেসিংরুমে ঘণ্টা দুয়েক অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকেন তারা। এরপর ফেরেন হোটেলে। বাসে চড়ার আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলন একটু দেরিতে শেষ হওয়ায় এবং সেখানে পৌঁছার পর এক ভদ্রমহিলা মসজিদের ভেতরে গোলাগুলি চলছে জানিয়ে আর সামনে না এগোনোর আহ্বান জানানোয় রক্ষা পায় দল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply