ট্রাম্পকে ভোট দেননি সিনিয়র ও জুনিয়র বুশ!

|

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘দাম্ভিক’ও বলেছেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে সদ্য প্রকাশিত ‘দ্য লাস্ট রিপাবলিকান’ বইয়ে এসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। মার্ক আপডেগ্রোমভের লেখা বইটির প্রিভিউয়ের উদ্ধৃতাংশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো। নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে ফাঁকা ব্যালট জমা দেওয়ার কথা।

ভোটের আগে রিপাবলিকান পার্টির কাউন্সিলেও ট্রাম্প সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক সমর্থন পাননি। সিনিয়র কিংবা জুনিয়র বুশ কেউই আবাসন ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে এসেই প্রার্থী বনে যাওয়া ট্রাম্পকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। এখন জানা গেলো ট্রাম্পকে ভোটও দেননি তারা।

জর্জ বুশ সিনিয়র বলেন ‘আমার তাকে পছন্দ হয়নি। তার সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানিওনা, যদিও বুঝি ট্রাম্প দাম্ভিক। তার নেতা হওয়া নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস নেই।’ তিনি আরও বলেন  ‘অহংবোধ থেকেই’ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েছিলেন।

এদিকে তার ছেলে বুশ জুনিয়র বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট মানে কি, ট্রাম্প সেটা জানেন না।’ সব কিছুতে বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া দেখানো নিয়ে বিরক্তিবোধের কথা জানান সাবেক এ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপডেগ্রোভ জানান, গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বুশ জুনিয়রের এক মন্তব্য থেকেই তিনি বইয়ের নাম দেন। ডব্লিউ বুশ সেসময় লেখককে বলেছিলেন, ‘ভয় হয়, আমিই বোধহয় শেষ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এটা কেবল হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন সেজন্য নয়, ভয় রিপাবলিকান পার্টির যে দুঃসময় যাচ্ছে সেজন্যও। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন এমন সবকিছুর প্রতিনিধিত্ব করছেন, বুশরাও যা ঘৃণা করেছে।’

সাবেক প্রেসিডেন্টদের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ এসেছে হোয়াইট হাউজ থেকে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স বলেছেন, আমেরিকার জনগণ রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে থাকা একজনকে এই কারণেই নির্বাচিত করেছে, কারণ তিনিই বাস্তব, ইতিবাচক ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি দশককাল ধরে করা ব্যয়বহুল ভুলের পুনরাবৃত্তিতেই আগ্রহী হতো, তাহলে জনগণের ওপর রাজনীতি চাপিয়ে দেওয়া প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদের কোনো একজনই বিজয়ী হতেন।’

যমুনা অনলাইন/এইচকেএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply