যুক্তরাজ্যের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় লন্ডন থেকে তারেক রহমানকে ফেরানো খুব একটা সহজ হবে না। দু’দেশের সরকার একমত হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। বুধবার সকালে আইনমন্ত্রীর বাসায় গিয়েছিলেন নতুন হাইকমিশনার। সেখানে তারা এ কথা বলেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়েই সেখানে তার অবস্থান বলে ধারণা সরকারের। তাকে দেশে ফেরাতে চায় সরকার। সেজন্য বছর খানেক আগে লন্ডনের সাথে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগও শুরু করেছে ঢাকা।
তারেক রহমানের বিষয়ে হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, আইনমন্ত্রী তারেক রহমানের বিষয়টি বলেছেন। আমি এ বিষয়ে লন্ডনে বিস্তারিত কথা বলবো। তবে বৃটেনে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তারাই এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আর সে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগতে পারে।
এদিকে আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী কোন দেশে থাকলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্য এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন তারেক রহমানসহ দন্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনা কার্যকর করতে চায় সরকার। তবে এই ইস্যুতে ঢাকা-লন্ডন সম্পর্কে টানাপোড়েন হবে না বলে মনে করেন তিনি।
Leave a reply