আগুন নেভানোর চেষ্টা: ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছেন সাধারণ মানুষও

|

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ২২ তলা ভবনটিতে ধাউ ধাউ আগুন জ্বলছে। বহু চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসছে না লেলিহান শিখা। এমন পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে কাজে লেগে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ মানুষও। আসপাশের এলাকায় পানির সন্ধান করা, পাইপ টেনে নিয়ে যাওয়ায় ফায়ার কর্মীদের সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়তে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে দুপুর একটার আগে আগুন লাগে। ভবনের ভেতরে লোকজন আটকা পড়েছেন।

দুপুর ২টার দিকে ভেতর থেকে একজন নারী ফেসবুক লাইভে এসে তাদেরকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ভিডিওতে শোনা যায় এক নারীর কণ্ঠ। তিনি বারবার বলছেন, ‘আমাদের জন্য সিঁড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। নাহলে ধোঁয়ায় আমরা মারা যাবো।”

২টার পর বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভবনসহ আশপাশের এলাকায় চক্কর দিতে দেখা গেছে একটি হেলিকপ্টারকে।

আটকে পড়াদের উদ্ধার এবং লাগোয়া ভবনগুলোতে আগুন ছড়ানো টেকাতে প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর উদ্ধারকারী দলও কাজে লাগতে পারে বলে জাগা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বনানীর ২৭ নম্বর রোডে হোটেল সারিনার বিপরীত দিকে অবস্থিত ভবনটিতে নিচের পাঁচটি তলায় প্রথমে আগুন দেখা গেলেও ধীরে ধীরে তা উপরের দিকে উঠতে শুরু করে।

লাগোয়া অন্যান্য ভবনগুলোতে কাজ করা কয়েক হাজার লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। এখনও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও উদ্ধারকর্মী আশঙ্কা করছেন হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

যমুনা অনলাইন/কিউএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply