সাইকেল চালাতে গিয়ে প্রতিবেশীর মুরগির বাচ্চার ওপর উঠে যায় চাকা। এতে আহত হয় বাচ্চাটি। সাথে সাথে আহত মুরগির বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যায় ভারতের মিজোরামের ৬ বছর বয়সী এক শিশু।
তার সঞ্চিত ১০ রুপির একটা নোটও নিয়ে যায় সাথে। বিনিময়ে মুরগির প্রাণ বাঁচানোর আবেদনও জানায় হাসপাতালে কর্মরতদের কাছে। ওই শিশুর মানবিকতা দেখে চমকে গিয়েছিল সবাই। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তার কাহিনি।
২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই জানা গেল, মানবিকতার সেই স্বীকৃতিও পেয়েছে সে। মিজোরামের সাইরাংয়ের বাসিন্দা ডেরেক সি লালচানহিমাকে পুরস্কৃত করলো তার স্কুল।
তাকে দেওয়া হয়েছে একটি প্রশংসাপত্র। যাতে লেখা ‘ওয়ার্ড অফ অ্যাপ্রিশিয়েসন’। ওই প্রশংসাপত্র নিয়ে ডেরেকের ছবি গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
প্রায়ই রাস্তাঘাটে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা অনেকেই অযথা ঝামেলা এড়াতে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাই। এমনকি, যিনি ধাক্কা দিয়েছেন, সেই গাড়ি বা বাইক চালকও ভয়ে পালিয়ে যান।
অমানবিকতার এই রকম হাজারো উদাহরণের মধ্যে ডেরেক বুধবার সকলের কাছে হাজির হয়েছিল শুদ্ধ বাতাসের মতো। তার শিশুমনের পবিত্রতা নিয়ে সকলেই প্রশংসা করেছিল। তার পুরস্কারও পেল সে।
তবে মুরগির বাচ্চাটিকে সে বাঁচাতে পারেনি। কারণ তার সাইকেলের চাকায় পিষ্ট হয়েই মুরগির ছানাটির প্রাণ যায়। তা সত্ত্বেও তার এই উদ্যোগ অবশ্যেই শিক্ষা দিল সকলকে।
Leave a reply