বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। ব্যাট হাতে লুক রঙ্কির ফিফিটির পর বল হাতে তাসকিনের পেস তান্ডবে রংপুর রাইডার্সকে ১১ রানে হারায় দলটি। আগে ব্যাটিং করে রংপুরের ৪ উইকেটে ১৬৬ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে মাশরাফির রংপুর।
১৭তম ওভারের চতুর্থ বল হঠাৎ রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার সঙ্গে বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন চিটাগাং ভাইকিংস পেসার শুভাষিশ রায়। ঘটনার রেশ ছিল দু দলের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ও। কিন্তু আসলে কি হয়েছিল মাঠে? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফিকে এই প্রশ্নর করা হলে বললেন, ‘ঘটনা যা ছিল, তা সিরিয়াস কিছু নয়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ রকম হয়। সিরিয়াস কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি…আমি মনে করি, আই শুড সে সরি টু হিম। আমারই সরি বলা উচিত। ক্রিকেটেরই অংশ। হয়ে থাকে এমন। ওর জায়গা থেকে হয়ত ঠিকই আছে। সে জিততে চায়, আমিও জিততে চাই।’
‘যেহেতু সে আমার ছোট, আমার আরেকটু মাথা ঠাণ্ডা রাখলে ভালো হতো। সিরিয়াস কিছু হয়নি অবশ্যই। আমি জানি না, ওর কি করা উচিত ছিল। কিন্তু সিনিয়র হিসেবে আমার আরেকটু শান্ত থাকলে ভালো হতো’, বলেন ম্যাশ।
ম্যাচের এই ঘটনা বাদ দিলে স্পটলাইট কেড়েছিন তাসিকনি আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর নিজেদের প্রথম ম্যাচেও চিটাগাং ভাইকিংসের জার্সিতেও বিবর্ণ ছিলেন ঢাকার এই পেসার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ভাইকিংসদের বড্ড প্রয়োজনে আবারো স্বরুপে সদস্য বিবাহিত এই ক্রিকেটার।
১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে শাহরিয়ার নাফিসকে দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড করেন তাসকিন।
পরের বলেই সামিউল্লা শেনওয়ারিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরী করেন। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক থিসেরা পেরেকা পরাস্ত করতে না পারলেও তাসকিনের পায়ে লেগে বল স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন বোপারা। উইকেট পড়লেও হ্যাটট্রিক বঞ্চিত তাসকিন।
পরের ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে থিসেরা পেরেরাকে ফিরিয়ে মূলত রংপুরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তাসকিন। আর তাতে ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৫৫ তে থামে রাইডার্স।
দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে চিটাগাং ভাইকিংসের জয়ের ভিত গড়ে দেন লুক রঙ্কি। ৭ রানে তার ওপেনিং পার্টনার সৌম্য সরকার যখন ফিরলেন তখন স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান বলে কতটা আক্রমণাত্বক ছিলেন নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। মাত্র ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন রঙ্কি।
মূলত তার ৭৮ দিলশান মুনাভিরার ২০ আর অধিনায়ক মিসবাহর অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় ভাইকিংসরা। যা তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১১ দুরে আটকে জায় রাইডার্সরা আর প্রথম জয়ের স্বাদ পায় চিটাগাং।
Leave a reply