পাবনা জেলার আমিনপুরে সিএনজি যাত্রী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চালক ও এক সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় রবিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী পাবনার বেড়া উপজেলার আলহাজ ইমান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে জানায়, রবিবার দুপুরে আমিনপুর থানার দিঘলকান্দি এলাকার বোনের বাড়ি থেকে বাঘলপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে রওনা হয়। কিছু পথ অতিক্রমের পর চালক আলামিন ও তার বন্ধু জহুরুল অটোরিক্সাটি একটি নির্জন বাবলা বাগানের মধ্যে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর মা জানান, রবিবার বিকেলে আমার মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় কয়েকজন লোক বাড়ি পৌঁছে দেয়। মেয়ের নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে আমিনপুর থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। দিনে দুপরে যারা আমার মেয়েকে এভাবে নির্মম নির্যাতন করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনেছি। শিক্ষার্থীর পরিবার রবিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। নির্যাতিতা শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a reply