বাংলাদেশের কারাগারে ৮৬ বিদেশি নাগরিকের কারাভোগ শেষ হলেও তাদের কেউ নিতে না আসায় তার এখনো কারাগারেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর একটি হোটেলের বলরুমে আয়োজিত মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ক ‘রিজিওনাল কনফারেন্স’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর সহযোগিতায় ‘কমব্যাটিং ট্র্যাফিকিং: রিপেট্রিয়েশন অব ভিকটিমস অব ট্র্যাফিকিং’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বিভিন্ন অপরাধে অন্যদেশের ৪৯৫ নাগরিক বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৬ জন মুক্ত হলেও কোনও দেশ তাদেরকে নিতে রাজি হয়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা আমাদের কারগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার হয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার হয়েছে। তবে তা এখন সংখ্যায় অনেক কমে আসছে। এখন যেটা হচ্ছে তা হচ্ছে প্রলুব্ধ করা। এখন প্রলুব্ধ করে লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। এতে তারা ভিকটিম হচ্ছে, অনেকে বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত। বাংলাদেশ থেকে জোর করে, কখনও প্রলুব্ধ করে মানুষকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এখন প্রলুব্ধ হওয়া মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে।অনেকে এখন বাংলাদেশে আসছে নিজেদের ভাগ্য বদলানোর জন্য।
দেশের প্রতিটি জেলায় মানবপাচার রোধে পুলিশের কমিটি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় মানব পাচার রোধে পুলিশের কমিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। এছাড়া, বর্ডার এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave a reply