প্রথম লেগে হারের পর দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে লিভারপুলের মতো ফাইনালে উঠেছে আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার্স। দুই গোলে পিছিয়ে পরেও শেষ পর্যন্ত লুকাস মৌরার হ্যাটট্রিকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে, অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকায় প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো টটেনহ্যাম। যা ইউরোপিয়ান মেজর কোন টুর্ণামেন্টের ৩য় অল ইংলিশ ফাইনাল।
আয়াক্স ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে লুকাস মৌরা যখন স্বাগতিকদের জালে নিজের হ্যাটট্রিক গোল ঠুকে দিয়ে ছুটে যাচ্ছেন, তখন নেদারল্যান্ডের ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে কান্নার রোল স্বাগতিক খেলোয়াড় আর দর্শকদের। এগিয়ে থাকা ম্যাচে এভাবে হার যা ভাবতেও পারেনি কেউ।
অথচ ম্যাচের ৫ মিনিটেই নিজেদের ৭ম ফাইনাল আর ৫ম ট্রফির দিকে বেশ দাপটের সাথেই এগিয়ে যায় আয়াক্স। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে নেন ডাচ ডিফেন্ডার মাথিস ডি লাইট।
৩৫ মিনিটে কাডিচের বাড়ানো বলে জিয়েচের শট লরিসের নাগালের বাইরে থাকায় প্রথমার্ধ শেষেই হয়তো অনেক ডাচ সমর্থক লিভারপুলের সাথে ফাইনালের টিকেট কাটতে থাকেন।
আগের দিন রাতে বার্সেলোনার বিপক্ষে শুরু থেকেই এক চেটিয়া ছিলো লিভারপুল। কিন্তু এদিন টটেনহ্যাম খেলা দেখায় শেষ ৪৫ মিনিট। বিরতির পর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস মৌরা শুরু করেন নিজের ধ্বংসযজ্ঞ। ৫৫ ডেলে আলীর সাথে বোঝা পড়ায় বোকা বানান আয়াক্স ডিফেন্স।
দুই মিনিটের ব্যবধানে আবারো নিশ্চুপ স্বাগতিক দর্শকরা। গোলরক্ষক ওনানা’র সাথে ডিফেন্ডার শোখনের ভুল বোঝাবুঝিতে সুযোগের দারুণ ব্যবহার করেন লুকাস মৌরা। ডি বক্সে ৮ জন আয়াক্সের খেলোয়াড় থাকা স্বত্বেও তাকে আটকাতে পারেননি কেউই।
এরপরই টনক নড়ে আয়াক্সের। ম্যাচে ফিরতে বেশ কয়েকবার স্পার্সদের রক্ষণে হানা দিলেও ভাগ্য আর ফিরে তাকায়নি ডাচ ক্লাবটির দিকে। ১৯৭২ সালের উয়েফা কাপ আর ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের পর এটি এখন যেকোন ইউরোপিয়ান মেজর টুর্ণামেন্টের ৩য় অল ইংলিশ ফাইনাল।
Leave a reply