গ্রাম্য সালিশে বাবাকে দিয়ে জুতাপেটা করায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় লজ্জায় জসিম উদ্দিন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে উপজেলার সরমংলা খাড়ির পাশের একটি গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার সাহাব্দিপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। সে পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিরিজপুর এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরিজপুর এলাকার মাঠে তারা দুজন দেখা করে। তখন স্থানীয়রা তাদের একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে রাতেই গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়।
সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম জসিমের বাবাকে দিয়ে তাকে জুতাপেটা করান। এরপর আর রাতে বাড়ি ফেরেনি জসিম। লোকলজ্জায় রাতেই সরমংলা খাড়ির পাশের একটি গাছে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সালিশ বৈঠক করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেখানে জসিমকে জুতাপেটা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। থানায় নিহত স্কুলছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। সব বিষয় জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ময়নাতদন্তের জন্য জসিমের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply