কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দ্বন্দ্বেের জেরে সহকারী শিক্ষকের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক। মাথার চার জায়গায় ক্ষত এবং দুই হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা আহত প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম রাসেলকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি পাঠান। হামলাকারী সহকারী শিক্ষক ইমরান হোসেন বাবলাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা। প্রধান শিক্ষকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের ছিটপাইকের ছড়া নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
গতকাল শনিবার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তার অফিসে দাপ্তরিক কাজ করা সময় সহকারী শিক্ষক ইমরান হোসেন বাবলা তাকে ডেকে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে যায়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইমরান ধারালো দা দিয়ে মাথায় এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে দুই হাত দিয়ে দা আটকানোর চেষ্টা করলে তার দুই হাতের চারটি আঙ্গুল বিছিন্ন হয়ে পড়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির বলেন, হামলাকারী শিক্ষককে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্ততি চলছে। আটক সহকারী শিক্ষক বাবলা নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের হাতির ভিটা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর সন্তান।
Leave a reply