লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা তাহেরের পুত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মামুনুর রশিদ। মামুনুর রশিদ জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক।
রোববার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে মানুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরে যাওয়ার পথে আমার শার্টের কলার ধরে বিপ্লব ও তার সঙ্গে ১৮-২০ জন তমিজ মার্কেট এলাকার পিংকি প্লাজার নিচে নিয়ে যান। এসময় তারা আমার কাছে ঈদ খরচের জন্য ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। পরে লোকজন ঝড়ো হলে আমাকে ছেড়ে দেয়। আহত অবস্থায় আমি সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, মাহবুব ইমতিয়াজ, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এড. শেখ জামাল রিপন, বায়েজীদ ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমূখ।
এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মামুন বাদী হয়ে বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। মামুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়া এন্টারপ্রাইজেরও স্বত্বাধিকারী।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন পৌরসভার জুয়েল, আবদুল মান্নান, কিরন, তানিম, হারুনুর রশিদ, পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের পরান, স্টেডিয়াম রোডের শাহাদাত হোসেন ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১২ জন। তাঁরা বিপ্লবের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিপ্লব কারামুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ঠিকাদার-ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন। গত বুধবার রাতে ঈদের খরচের জন্য ১৪-১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বিপ্লবের লোকজন ঠিকাদার মামুনের পৌরসভার সাহাপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় দাবি করা টাকা দিতে তাঁরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরে যাওয়ার পথে মামুনের শার্টের কলার ধরে বিপ্লব ও আসামিরা তমিজ মার্কেট এলাকার পিংকি পাজার নিচে নিয়ে যান। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মামুন সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
অপরদিকে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের হাজী আহসান উল্লাহ পুত্র আবদুল মান্নান বাদি হয়ে শ্রমিকলীগ নেতা মামুন সহ ৪ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, শ্রমিকলীগ নেতা মামুন বাদি হয়ে বিপ্লবসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন। অপরদিকে আবদুল মান্নান মামুন সহ ৪ জনকে আসামি করে একটি এজাহার করে। দুটি এজাহারই আমাদের তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্তপূর্বক আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
Leave a reply