নিষেধাজ্ঞার পরও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে বাগদা-গলদা চিংড়ি রেণু শিকার। কোটি টাকার রেণু শিকার ও বেচাকেনা হলেও আইন প্রয়োগে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা স্থানীয় প্রশাসন। মেঘনা নদীর কুলঘেঁষে জোয়ার ভাটায় মশারিজাল দিয়ে চিংড়ি রেণু শিকার করা হচ্ছে। এ সব জালে আটকা পড়ে বিভিন্ন মাছের পোণা, ডিম ও ভাসমান নানা জলজপ্রাণি। শিকারিরা বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণুগুলো রেখে অন্য ছোট মাছগুলো তীরে ফেলে দেয়। ধংস হচ্ছে বিভিন্ন মাছ ও জলজপ্রাণি। দালালদের মাধ্যমে এসব চিংড়ি রেণু চলে যাচ্ছে খুলনা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে। এদিকে রেণু শিকারের নামে অপরিকল্পিতভাবে জলজ প্রাণি ধংসের পাশাপাশি পরিবেশকে সংকটের মুখে ফেললেও সরকার এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।শিকারিরা জানান নদীতে মাছের আকাল থাকায় আইন অমান্য করতে বাধ্য হচ্ছে। নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। সেজন্য বাধ্য হয়ে রেণু ধরছি।
ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের ইকোফিশ প্রকল্প গবেষণা সহযোগী অংকুর ইমতিয়াজ বলেন, তারা শুধু বাগদা পোনা ধরছে তা নয়। সেই সময়ে তারা ৯০ থেকে ১০০ অন্যান্য প্রজাপতির মাছ তারা নষ্ট করেছে। এতে প্রকৃতিতে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভার পড়তে পারে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি রেণু ধরা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন।
জেলার মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব রেণু শিকারিদের কাছ থেকে বেপারিরা প্রতি হাজার ৩শ’ টাকা দরে কিনে সাড়ে ৩০০ টাকা দামে আড়তে বিক্রি করে। আড়ৎ মালিকরা খুলনা-যশোর নিয়ে প্রতি হাজার ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
Leave a reply