আগামী বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি পাকিস্তানর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। সে সময় মোদির অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
এবারের সতেরতম লোকসভা নির্বাচনে ৩৫২ আসন পেয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করছে বিজেপি তথা এনডিএ। এবারের মোদির অভিষেক অনুষ্ঠানে বিমসটেক জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্যে তা ঘটছে না বলে নয়া দিল্লির কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
অন্যদিকে, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্ককে পাশে রেখে গত কয়েক বছর ধরেই বঙ্গোপসাগরীয় অর্থনৈতিক জোট বিমসটেককে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।
এই জোটে ভারত ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৩০ মের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, এবার পাকিস্তানকে বাদ দিতেই সার্কের বদলে বিমসটেককে সামনে আনা হয়েছে।
এদিকে রোববার টেলিফোনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি তিনি শান্তি আলোচনায় বসতে নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন বলে এএফপির খবরে বলা হয়।
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনার পর এই প্রথম টেলিফোনে কথা বললেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে জয়ী হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চান ভারতের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেদের বিশ্বাস বাড়াতে হবে এবং হিংস্রতা মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
Leave a reply