ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। ওশান থমাস-জেসন হোল্ডার এবং আন্দ্রে রাসেলের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ২১.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট পাকিস্তান।
১০৬ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের জয়ে ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ছয়টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রান করেন ক্রিস গেইল। এছাড়া ১৫ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান।
এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই লজ্জায় পড়ে যায় পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলটি শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ২১.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়।
এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতির সামনে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন দলটি।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নিজের উইকেট হারান ইমাম-উল-হক। শেলডন কটরিলের গতির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। ইমাম-উলের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে মাত্র ২ রান করেন ইমাম।
এরপর ইনিংস মেরামত করার আগেই ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২২ রান করার সুযোগ পান পাকিস্তানের এ ওপেনার।
দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার আগেই বিপদে পড়ে যান হারিস সোহেল। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
ওশান থমাসের করা অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে শাই হোপের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন বাবর আজম। এভাবে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ২১.৪ ওভারে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট পাকিস্তান।
দলের হয়ে হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করে করেন বাবর আজম ও ফখর জামান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন ওশান থমাস। এছাড়া ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫/১০ (বাবর ২২, ফখর ২২, ওয়াহাব রিয়াজ ১৮, মোহাম্মদ হাফিজ ১৬; থমাস ৪/২৭, হোল্ডার ৩/৪২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, নিকোলাস পুরান ৩৪; আমির ৩/২৬)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
Leave a reply