আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। কেবল নেপালেই ৪৮ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬৬ জন। নিখোঁজ আছে অনেকে। ভারতে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। দেশটির পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বিহার রাজ্যে অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির।
বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে নেপাল। কাঠমাণ্ডুর দাবি, সীমান্তবর্তী সপ্তকোশি বাধের ৫৬টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সে কারণেই, জলমগ্ন দক্ষিণের সীমান্ত শহরগুলো। দুদিনের বন্যায় মারা গেছেন অর্ধশতাধিক। নিখোঁজ আরো অনেকে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আটকা পড়েছেন দুই শতাধিক ভারতীয়। এমন পরিস্থিতিতে জনগণকে ধৈর্য্য ও সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেওবা।
এদিকে, চলতি বছরই দ্বিতীয় দফায় প্রবল বন্যার কবলে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের ৭টি জেলায় ১১ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এবারও, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য আসাম। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্লাবিত হয়েছে রাজ্যটির কয়েকশ’ গ্রাম। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রেল যোগাযোগ। বাতিল করা হয়েছে ২০টি ট্রেনের যাত্রা। আটকে পড়েছে আরো ১৪টি। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সার্বান্দ সানওয়াল বলেছেন- এ দফায় আসামের ১৯টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। জলমগ্ন এলাকাগুলোয়, বেশ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অধিবাসীরা। তাদের উদ্ধার ও ত্রান সহায়তায় সবধরণের উদ্যেগ গ্রহণ করেছে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে ভারতের উত্তরাঞ্চলও। অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে, হিমাচল প্রদেশে একদিনেই ঘটেছে দুটি বাস দুর্ঘটনা।
ভারত-নেপালের প্রতিবেশি চীনে বানের পানিতে ভেসে গেছে মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত ১২ ঘণ্টায় গানসু প্রদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন, নিখোঁজ রয়েছে আরও দু’জন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেড় কোটি মার্কিন ডলার জরুরী তহবিল ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যমুনা অনলাইন-এফআর
Leave a reply