ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। সর্বশেষ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালীতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে এসে পৌঁছেছে।
এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, অশান্তির মূলে বিজেপি। বাংলা শান্তির রাজ্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজ্য। বিজেপি এখানে অশান্তি করতে চায়। দাঙ্গা বাধাতে চায়। এই রাজ্যের শান্তি কেড়ে নিতে চায়। কিন্তু বাংলার মানুষ বিজেপির সেই আশা পূর্ণ করতে দেবে না। বিজেপির গুণ্ডাদের শায়েস্তা করবে রাজ্য সরকার।
গত শনিবার (৮ জুন) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালীতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে তিন বিজেপিকর্মী ও এক তৃণমূলকর্মী নিহত হন।
ওই ঘটনার পর বিজেপি বারবার দাবি তুলেছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ভেঙে নিয়ে নতুনভাবে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করবে কিনা, এমন প্রশ্নও উঠছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে।
এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি দিল্লিতে গিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এতে রাজ্য সরকার ভেঙে দেয়ার বিষয়টি জোরালো হয়ে উঠেছে।
সোমবার (১০ জুন) পশ্চিমবঙ্গ সচিবালয় নবান্নে রাজ্য প্রশাসনিক এক বৈঠকের পর মমতাও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। সরকারকে ভাঙার চেষ্টা করে বিজেপি যদি মনে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্তব্ধ করবেন, তা হলে মনে রাখবেন- মৃত বাঘের চেয়ে আহত বাঘ বেশি ভয়ঙ্কর।’
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেন মমতা।
Leave a reply