স্টাফ রিপোর্টার,নেত্রকোণা
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার নয় দিন পর পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলছেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, অভিযোগ করায় ওই শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বারহাট্টার হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইন উদ্দিন নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই শিক্ষার্থী। এতে কারণ খুঁজতে গিয়ে অভিভাবকেরা শোনেন শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা। এরপর চলতি মাসের ৩ তারিখ থানায় আইনের আশ্রয় নেয় ওই পরিবার।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ওই শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত শিক্ষক আইন উদ্দিন। থানায় অভিযোগ দেওয়ার নয় দিনেও বিষয়টি আমলে না নেওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তবে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ায় খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বুধবার বিকেল সরেজমিনে ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি ও হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর জড়ো হন এলাকাবাসী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন তারা।
এলাকাবাসী আরও জানান, ২০০৮ সালে এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মোজাম্মেল হক খুনের হুকুমজারী আসামি হয়েও তা থেকে মুক্তি পেয়ে সেই থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শিক্ষক আইন উদ্দিন।
বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার ছাত্রী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন জানান, ঘটনা সংবাদ পেয়ে তিনি এটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার)এসএম আশরাফুল আলম জানান, মামলাটি গুরুত্বের সাথে দেখছেন তারা। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a reply