২০০৯ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দাপট দেখাচ্ছে ইংলিশরা। এই সময়ে ২৮টি ৫০ ওভারের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। ইংল্যান্ড জিতেছে ১৯টিতে, ক্যারিবীয়দের জয় মাত্র পাঁচটি। বাকি চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। জেসন হোল্ডাররা আত্মবিশ্বাস পেতে পারেন ক্রিস গেইল দলে থাকায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাট সব সময় গর্জে ওঠে। ইংল্যান্ডও তাকিয়ে থাকবে জো রুটের দিকে। ইংল্যান্ডের এই রান মেশিনও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। লড়াইটা আজ তাই গেইলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে রুটের ক্লাসিক ব্যাটিংয়েরও।
এই ম্যাচেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো শুরুর পরও বৃষ্টির কারণে আগের ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের। বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ হয়েছে হোল্ডারদের। গেইল ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিংয়ে ক্যারিবীয়রা নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রমাণ করেছে। বিধ্বংসী বাঁ-হাতি ওপেনার গেইল ক্যারিয়ারে ২৫ সেঞ্চুরির মধ্যে চারটি করেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তার ক্যারিয়ার গড় ৩৮.১৪। ইংলিশদের বিপক্ষে ৫১.৪৮। ৩৫ ম্যাচে ছক্কা মেরেছেন ৮৪টি। ৯৬.৩৭ গড়ে এক হাজার ৫৯৬ রান। এবার বিশ্বকাপে দুই ইনিংসে একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন গেইল। আইপিএল থেকেই রানের মধ্যে রয়েছেন তিনি। নিজের শেষ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিশ্চয়ই মনে রাখার মতো কিছু করতে চাইবেন তিনি।
ক্লাসিক রুট ১৬ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে করেছেন তিনটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি। ৫৮.৬৬ গড়ে রান ৭০৪। বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে তার রান ৫১, ১০৭ ও ২১। বেশ কয়েক বছর ধরে মিডল অর্ডারে ইংল্যান্ড রুটের ওপর আস্থা রেখে আসছে। বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে স্বাগতিকরা পাকিস্তানের কাছে হেরে ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৬ রানের রেকর্ড গড়ে বড় জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে তারা।
Leave a reply