রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক শওকত হায়দারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীতে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায় ব্রণের ইনফেকশন চেক করতে গিয়ে ঐ ছাত্রীর গালে চুমু খান চিকিৎসক এবং ইনজেকশন দেয়ার নাম করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
এই ঘটনায় পপুলার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ শিক্ষার্থী।
চিকিৎসক ও ছাত্রীর এক ফোন আলাপ থেকে জানা যায়, ঐ ছাত্রী চিকিৎসকের কাছে ফোন করে এবং জানতে চায় কেন চুমু খেলো। তখন ডা. শওকত বলেন, ‘কিস করিনি, কি একটা দাগ ছিলো সেটা দেখেছি। তখন ছাত্রী আবার জানতে চায় তা ঠোঁট দিয়ে মুখ দিয়ে করতে হয়। তখন ডাক্তার বলেন, ঐখানে ইনফেকশন আছে কিনা সেটা দেখেছি। পরে ডা. শওকত ছাত্রীকে দুঃখিত বলেন।
জানা যায়, গত শনিবার (১৫ জুন) চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দার কাছে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রী। এসময় ব্রণের স্থায়ী সমাধানে ইনজেকশন দেয়ার কথা বলে ডা. শওকত। এরপর ইনজেকশন দেয়ার নাম করে ছাত্রীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ রকম আচরণে দ্রুত ছাত্রীটি বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আবার গালে ব্রণ ইনফেকশনের নাম করে ডা. শওকত হায়দার ঐ ছাত্রীর গালে চুমু খায়।
এদিকে এ বিষয়ে ডা. শওকত কে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ রকম ঘটনা ঘটেনি। তার সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি রাজি হননি।
Leave a reply