ইরানের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে এক হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার তেহরান ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানোর পরই এ পদক্ষেপ নেয় ওয়াশিংটন। এ অবস্থায় নতুন করে অস্থিতিশীলতা রুখতে দু’পক্ষকেই সংযত থাকার আহ্বান ইউরোপের।
ওমান উপসাগরে এক মাসের মধ্যে ৬টি তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় উত্তেজনার আঁচ বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব একতরফাভাবে ইরানকে দায়ী করলেও, স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইরানের তেল রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা সৃষ্টির জেরে, পারস্য উপসাগরীয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে আঞ্চলিক রফতানি বন্ধে উদ্যোগী হয় তেহরান। এর মধ্যে সোমবার (১৭ জুন) আসে ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর ঘোষণা। ইউরোপীয় মিত্ররা এতে তেমন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও ক্ষিপ্ত ওয়াশিংটন। মধ্যপ্রাচ্যে এক হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউরেনিয়াম উৎপাদন চারগুণ বাড়িয়ে ৩শ’ কেজিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা। এর মাধ্যমে পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন হবে না বলে আশ্বাস দেশটির।
যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের পর পরমাণু চুক্তি টেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চুক্তিবদ্ধ পাঁচ দেশ- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে দেয় তেহরান। যা শেষ হবে আগামী ৫ জুলাই।
Leave a reply