দেশের ৩০০ জন শীর্ষ ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। এরা সরকার থেকে ঋণ নিয়েছে ৭০ হাজার ৫৭১ কোটি। খেলাপি রয়েছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। শ্রেণিকৃত ঋণ ৫২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা।
তিনি বলেছেন, দেশে এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ জনের কাছে সরকারের পাওনা এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ২০১৮ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ জন এবং অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এদের মধ্যে শীর্ষ ৩০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপির নাম, ঠিকানাসহ তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শনিবার জাতীয় সংসদে মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন এমন ১৪ হাজার ৭১৫ জনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
যাদের মোট ঋণের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। এদের কাছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।
ঋণখেলাপি শীর্ষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে- সামানাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা, গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং খেলাপির পরিমাণ ৯৮৪ কোটি টাকা, রিমেক্স ফুডওয়্যার লিমিটেড ৯৭৬ কোটি টাকা, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড ৮২৮ কোটি টাকা, মাহিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ৮২৫ কোটি টাকা, রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড ৭৯৮ কোটি টাকা, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ৭৭৬ কোটি টাকা, এসএ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেড ৭০৭ কোটি টাকা, সুপ্রভ কম্পোজিট নীট লিমিটেড ৬১০ কোটি টাকা, গ্রামীণ শক্তি ৬০১ কোটি টাকা, সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেড ৫৮২ কোটি টাকা, কম্পিউটিার সোর্স লিমিটেড ৫৭৫ কোটি টাকা ,সিমরান কম্পোজিট লিমিটেড ৫৬৪ কোটি টাকা, ম্যাক্স ইস্পিনিং মিলস ৫২৬ কোটি টাকা, বেনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫২৩ কোটি টাকা, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস লিমিটেড ৫২৩ কোটি টাকা, সিদ্দিক ট্রেডার্স ৫১১ রুবাইয়া ভেজিটেবল ওয়েলস ইন্ডাজট্রিজ লিমিটেড ৫০১ কোটি টাকা, রাইজিং স্টিল লি. ৪৯৫ কোটি টাকা।
সংসদে ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য লুৎফুন নেসা খানের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে রক্ষিত ডিসেম্বর ২০১৮ ভিত্তিক দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০জন এবং খেলাপি অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপির সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে প্রাপ্ত ঋণের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।
‘২০১৮ সালে ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ এবং খেলাপি অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।’
Leave a reply