পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিছানা, বালিশ, আসবাবসহ আনুষঙ্গিক কাজে অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ জুনের মধ্যে জমা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০১৭-১৮ সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, রূপপুরে দুর্নীতির ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিবেদনের ভেতরই তদন্ত প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ থাকবে না।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি একটু গভীরে গিয়ে আমরা তদন্ত করতে চাচ্ছি, দায়সারাভাবে নয়। আমরা ৩০ দিন সময় বাড়িয়েছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা রিপোর্ট প্রকাশের প্র্যাকটিস করছি। আশা করি, ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন পেয়ে যাব। এর পর এফআর টাওয়ারের মতো তদন্ত প্রতিবেদনটা সবার সামনে প্রকাশ করব। কিছুই গোপন থাকবে না।’
রূপপুরের ঘটনায় অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদফতর আলাদা দুটি কমিটি গঠন করে। একই সঙ্গে অভিযোগ যাচাইয়ে দুই তদন্ত কমিটির কোনো প্রতিবেদন না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সব ধরনের অর্থ দেয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত দেশের অন্যতম মেগাপ্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
সারা দেশে এই কেলেঙ্কারি ‘বালিশ দুর্নীতি’ হিসেবে আলোচিত হয়। পরে একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
Leave a reply