তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সদ্য প্রয়াত মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির ছেলে আবদুল্লাহ।
আলজাজিরা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল্লাহ বলেন, তার বাবাকে যারা সমর্থন দিয়ে গেছেন- বিশেষ করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং তার বাবা শেখ খালিফা বিন হামাড আল থানি, মালয়েশিয়ার সরকারপ্রধান মাহাথিরসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি দুঃখের সঙ্গে জানান, তার বাবার মৃত্যুর জন্য নিজ দেশ মিসরে শোক পালন করতে পারেননি। কিন্তু প্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণ জেরুজালেমে প্রয়াত ওই নেতার জন্য পবিত্র আল আকসা মসজিদে গায়েবি জানাজা দেন।
বিশ্বের লাখো মানুষ তার জন্য প্রার্থনা করেছেন- এ জন্য তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গত সোমবার আদালতে বিচারের শুনানির ফাঁকে আকস্মিক পড়ে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৬৭ বছর বয়সী মুরসি। কিন্তু তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে ফেরাউনের দেশ মিসরের সংবাদমাধ্যমগুলোতে তেমন তাৎপর্য বহন করেনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মুরসির মৃত্যুর চেয়ে দেশটি যে চলতি বছরের আফ্রিকান কাপ অব নেশনের আয়োজন করছে, সেটিই যেন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কাজেই পত্রিকাগুলোর প্রথমপাতাগুলোতে এ খেলার খবরই বড় করে প্রকাশ করা হয়েছে।
বরং ভেতরের পাতায় ছোট করে ছাপানো হয়েছে এই মৃত্যুর খবরকে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোতেও মুরসির কথা তেমন একটা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি যে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, তা উল্লেখের বদলে তার পূর্ণাঙ্গ নাম উচ্চারণ করা হয়েছে।
খুবই ছোট করে, আরবি শব্দে মাত্র ৪২টি শব্দে মুরসির মৃত্যুর খবর প্রচার করেছে মিসরীয় পত্রিকা, রেডিও ও টেলিভিশন।
মুরসির মৃত্যুর পর মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে জরুরি অবস্থাও জারি করেছিল।
Leave a reply