পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম নামের এক যুবককে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারসহ ১৪জনকে প্রথমে আটক করে তাদেরকে রিয়াজুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে ওই যুবক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
এঘটনায় নিহত রিয়াজের বড় ভাই লিটন বাদী হয়ে ইউপি মেম্বর রফিক, জলিল, নাসির, মজিবর, হাসান, মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১২-১২জন অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে মো. রিয়াজুল (২২) পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী। ঘটনার আগে মো. রিয়াজুল অগ্রণী ব্যাংক গলাচিপা শাখা থেকে এক লাখ টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনার সময়ে নিজেদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে মসজিদের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে আসামিরা একযোগে রিয়াজের উপর হামলা করে। আসামিরা কুপিয়ে পিটিয়ে রিয়াজুলকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীদের কবল থেকে রিয়াজকে উদ্ধার করতে চাচা কাদের মিয়া এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে রিয়াজকে প্রথমে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে রিয়াজের মৃত্যু হয়। রিয়াজের চাচা আহত কাদের মিয়া বর্তমানে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ জানান, ঘটনার পরেই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই ইউপি মেম্বার রফিকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সকলকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Leave a reply