মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় সম্পদ নাগরিকরা, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তারা সংঘাত ও বর্বরতার শিকার। এরফলে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। আজ মঙ্গলবার বিকালে মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির সাথে বৈঠকে পোপ এসব কথা বলেন।
এসময় সু চি দাবি করেন, তার সরকার সবার জন্য শান্তি নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে। এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, বৈঠকের সময় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি পোপ। মিয়ানমার সরকার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের পরিচয় দেয়ার ঘোর বিরোধী।
সু চির সাথে বৈঠকের আগে দেশটির বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের অনুসারীদের মাঝে ঐক্যের ডাক দেন পোপ ফ্রান্সিস।
ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারের ক্যাথলিক আর্চ বিশপের বাসভবনে ৪০ মিনিটের এক আন্তঃধর্মীয় বৈঠক করেন তিনি। তাতে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর নেতারা অংশ নেন।
রোহিঙ্গা মুসলিমবিরোধী জাতিগত বিদ্বেষের উসকানি দাতা এক বৌদ্ধ নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পোপ। রোহিঙ্গা সঙ্কটের মাঝে চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার বিতর্কিত ওই বৌদ্ধ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক বলেন, ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারের ক্যাথলিক আর্চ বিশপের বাসভবনে আন্তঃধর্মীয় বৈঠকের ফাঁকে বৌদ্ধ নেতা সিতাগু সায়াদ’র সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ করেছেন পোপ।
Leave a reply