সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরে কোপা আমেরিকা শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে রেফারির পক্ষপাতিত্বের শিকার হন আলবিসেলেস্তেরা। ন্যায্য দুটি পেনাল্টি পাননি তারা। এ নিয়ে পরে প্রকাশ্যে কথা বলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ অফিসিয়ালদের ধুয়ে দেন তিনি।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমেও হতাশ হলেন আকাশি-সাদা-নীল জার্সিধারীরা। এ লড়াইয়েও রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের ফাঁদে পড়েছেন ১৪বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে চিলি রক্ষণসেনা গ্যারি মেদেলের সঙ্গে বিবাদে জড়ান লিওনেল মেসি। তবে সেটা গুরতর ছিল না। অথচ দুজনকেই লালকার্ড দেখান রেফারি।
এ ঘটনার পর আয়োজক ব্রাজিল এবং ম্যাচ রেফারিদের ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন লিওনেল মেসি। ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল কর্তৃপক্ষ কনমেবলকেও দুষেছেন তিনি। এর ফলে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন মেসি।
রোববার (৭ জুলাই) স্প্যানিশ ক্রীড়া বিষয়ক গণমাধ্যম এএস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। কনমেবলের নীতিমালা অনুসারে, সংস্থাটি কিংবা তার কর্মীবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে অপমানসূচক কিছু বলা হলে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি।
শাস্তি পেলে আগামী ২০২২ সালে কাতারের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলতে পারবেন না তিনি। সেই সঙ্গে পরের বছরের কোপা আমেরিকা আসরেও দর্শক হয়ে থাকতে হবে তাকে।
Leave a reply