‘পাস্তুরিত দুধে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট ও ফরমালিন পাওয়া গেছে’, গবেষণায় তা প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ফারুককে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার কনসাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে পলাশ মাহমুদ বলেন,’দুধ নিয়ে গবেষণা করে ভেজাল ধরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এবিএম ফারুক স্যারকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
পলাশ মাহমুদ বলেন,’আমরা ফারুক স্যারকে হয়রানি বা কোনো ধরণের হয়রানি চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দেশের ১৬ কোটি ভোক্তা ফারুক স্যারের পাশে দাঁড়াবেন আশা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অধ্যাপক ফারুক বাজার মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ, ইগলু, ইগলু চকোলেট ও ইগলু ম্যাংগোর দুধ সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করেন। সেখানে তিনি সাত ধরনের পাস্তুরিত দুধের নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক এবং তিন ধরনের দুধে ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পান।
ওই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই ফারুক স্যারকে টার্গেট করা হয়েছে। বড় বড় কোম্পানির অর্থায়নে সভা-সেমিনার হচ্ছে। দেশ ও মানুষের স্বার্থে ফারুক স্যারের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে রাজপথে নামতে হবে।
Leave a reply