সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুই সন্তানের জনক। পাশাপাশি তার দুটি দত্তক সন্তানও রয়েছে।
তার সন্তানরা হলেন- রাহগির আল মাহি এরশাদ ওরফে শাদ এরশাদ, এরিক এরশাদ। আরমান এরশাদ ও জেবিনকে দত্তক নিয়ে লালন পালন করেন এরশাদ।
‘আমার কর্ম আমার জীবন’ শীর্ষক এরশাদ তার আত্মজীবনী গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এই তিন ছেলে ও এক মেয়ের কথা।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মারা যাওয়ায় এই সন্তানরাই এখন তার উত্তরাধিকার।
এরশাদের প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ। এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থাকার সময় ১৯৮৩ সালে রওশন এরশাদের কোলে আসে ছেলে সন্তান। সেই ছেলের নাম রাখা হয় রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ)।
মালয়েশিয়ায় দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে শাদ এখন ঢাকাতেই থাকেন। এখন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত শাদ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ ( ফুলবাড়ি-সদর-রাজারহাট) এলাকা থেকে তাকে প্রার্থী করার গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল।
ছেলে শাদ এরশাদকে নিয়ে গত ২৮ জুন সিএমএইচে গিয়ে এরশাদের শয্যাপাশে যান রওশন এরশাদ।
এরশাদের আরেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ। এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান। নাম এরিক এরশাদ। তার বয়স এখন ১৮ বছর। এরিক বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে বাবা এরশাদের সঙ্গে থাকতেন। সঙ্গীতে বিশেষ পারদর্শিতা রয়েছে তার। এরশাদ এরিককে নিয়ে চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রায় একটি টকশোও করেন। সেখানে এরিক একটি গান গেয়ে শোনান। যা শুনে এরশাদ খুশিতে চোখের পানি ফেলেন।
২০০৫ সালে বিদিশার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় এরশাদের। পরে আদালতের আদেশে এরিকের দায়িত্ব পান এরশাদ। এরশাদের ঘনিষ্ঠরা জানান, তার সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন সন্তান এরিক, তাকে ঘিরেই এরশাদের যত ভাবনা ছিল।
এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেছিলেন, রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে এরিককে আমি সময় দিতে পারিনি। এরিক যখন আমার জীবনে আসে, তখন সে মাত্র দুই বছরের শিশু। সে স্নেহবঞ্চিত সন্তান। ছেলেবেলা থেকে মাতৃস্নেহ পায়নি। আমিও আমার অপর সন্তান জাতীয় পার্টি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি সব সময়। ওকে স্নেহ-ভালবাসা দিতে পারিনি, বঞ্চনা করেছি।
এরশাদের পালক পুত্র ২৫ বছর বয়সী আরমান এরশাদ থাকেন এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে।
তার একমাত্র পালিত কন্যা জেবিনের বিয়ে হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী জেবিন এখন লন্ডনে থাকেন।
প্রসঙ্গত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। ২৬ জুন থেকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
Leave a reply