ভারী বর্ষণে ভারতের হিমাচলে একটি বহুতল ভবন ধসে ১৩ সেনা সদস্যসহ ১৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৪ জুলাই) বিকালে প্রদেশটির রাজধানী শিমলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোলানে এ দুঘর্টনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
খবরে বলা হয়, ঘটনার সময় ওই সময় ভবনটিতে ৪২ জন ছিলেন। এর মধ্যে ৩০ জন সেনা সদস্য ছিলেন।
এনডিটিভি জানায়, তিনতলা ওই ভবনটির নিচ তলায় একটি রেস্তোরাঁ ও উপরে ছোট একটি গেস্টহাউস ছিল। সেনাবাহিনীর প্রায় ৩০ জন সদস্য ও তাদের পরিবার নিয়ে উত্তরাখাণ্ড যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তারা ওই রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে থেমেছিল।
তবে দেশটির টিভি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানায়, পার্শ্ববর্তী দাগসাই ক্যান্টনমেন্ট থেকে দুপুরের খারার খেতে তারা ওই রেঁস্তোরায় যায়।
ভবনটি থেকে উদ্ধার হওয়া এক সেনা সদস্য বলছে, ঘটনার সময় অন্তত ৩৫ জন সেনা সদস্য অবস্থান করছিল। এর মধ্যে ৩০ জন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ছিলেন।
প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের ঢালুতে থাকা ভবনটি ধসে পড়ে।
ঘটনার পর অবহেলার অভিযোগ এনে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভবনটির মালিকের স্ত্রী ও দুই সেনাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার পর তাদের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর দুইটি দল সারারাত ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। পরে আরও একটি দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এক টুইটে জানিয়েছেন, ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
রোববার রাতে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর চন্ডিগড়-শিমলা জাতীয় মহাসড়কের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের কারণে সড়কটিতে যানজটসৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কোথাও কোথাও কাদাতে ঢেকে গেছে।
Leave a reply