কুমিল্লা ব্যুরো
কুমিল্লার আদালতে বিচার চলাকালীন সময়ে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে বিচারকের সামনে ফারুক নামের এক আসামিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সময় আদালতে অন্য একটি মামলায় হাজির থাকা জেলার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ বাদী হয়ে অভিযুক্ত হাসানকে আসামি করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালী মডেল থাকার পরিদর্শক তদন্ত মো. সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ বাদী ফারুকের হত্যাকারী হাসানকে একমাত্র আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।
উল্লেখ, সোমবার কুমিল্লা আদালতে বিচার চলাকালীন সময়ে এজলাস অতিক্রম করে খাস কামরায় ঢুকে বিচারকের সামনে এক আসামি অন্য আসামিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ২০১৩সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিলো। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৬নং আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করেন। সেখানে হাসান প্রবেশ করে টেবিলের উপর ফেলে ফারুককে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়। এসময় আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে। এসময় আদালত কক্ষে বিচারক,আইনজীবী ও অন্য আসামিদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই ভয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a reply