পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মনিরুজ্জামান অফিস করেন খালি গায়ে গামছা পড়ে। এমনকি পড়নে লুঙ্গিও দেখা গেছে।
তিনি সরকারী কর্মকর্তা। বসে আছেন সরকারী প্রতিষ্টানের তার নিজ অফিস কক্ষের বড় চেয়ারে। চোখে চশমা পড়ে টেবিলের উপর কাগজপত্র দেখায় ব্যস্ত। সামনের চেয়ারে বসা সেবা নিতে আসা স্থানীয় লোকজন। অথচ অফিস করেন গামছা আর লুঙ্গি পড়ে।
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি নাকি এভাবেই অফিস করেন। ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় দুইজন সাংবাদিক আজ সকালে তার অফিস কক্ষে গিয়ে ওই অবস্থার ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ভূমি অফিসে। হামলার শিকার দুই সাংবাদিকের বক্তব্যের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় স্থানীয়দের কথায়ও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ওনাকে প্যান্ট আর শার্ট পড়া অবস্থায় অফিসে দেখেননি। গত পনের দিন হলো উনি রাঙ্গাবালীতে যোগদান করেছে অথচ যোগদান করেই কড়া মেজাজে কথা বলাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
যদিও তহশিলদার মনিরুজ্জামান যমুনা নিউজকে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “রাঙ্গাবালী উপজেলায় থাকার আর খাওয়ার জায়গা নাই। তাই অফিসের মধ্যেই থাকতে হয় আর খেতে হয়। এখন যদি কোন ভুক্তভোগী জনগন নয়টার আগে অফিসে আসেন আর তার সাথে কথা বার্তা বলতে হয় সে ক্ষেত্রে তো লুঙ্গী পড়া অবস্থায়ই করতে হয়। আর তখন যদি কেউ ছবি তুলে তাহলে বুজতে হবে সেখানে কোন না কোন কারণ রয়েছে।
“প্রশ্ন করা হয় জনগনের সাথে কথা বলা আর চশমা পড়ে টেবিলের ওপর কাগজপত্রাদি দেখাশোনা করা কী এক বিষয়? জবাবে বলেন, না। আমি টেবিলে বসে তাদের সাথে কথা বলেছি শুধু।
তবে ঘটনা যে নয়টার পরের তা স্পষ্ট হয়েছে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের বক্তব্যে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাঙ্গাবালী থানার সেকেন্ড অফিসারের নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্য।
সেখানে উপস্থিত হওয়া পুলিশের এসআই এনায়েত হোসেন যমুনা নিউজকে জানান, নয়টার অনেক পরে ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে তহশিলদারকে লুঙ্গি পড়া অবস্থায় দেখেছি।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মামুনুর রশিদ যমুনা নিউজকে জানান, এরকম করা ঠিক না। যদি কেউ করে থাকে তবে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a reply