মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদলীয় চার নারী এমপিকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চরম বর্ণবাদী বক্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের বিষয়ে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নীরবতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলছেন সমলোচকরা।
গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে দেশের কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটদলীয় বিদেশি বংশোদ্ভূত নারী সদস্যদের অবমাননা করে চরম বর্ণবাদী বক্তব্য দেন।
টুইটার বার্তায় বিদেশি বংশোদ্ভূত এসব কংগ্রেস সদস্যকে অবিলম্বে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এই চার কংগ্রেস সদস্য হলেন- আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও করতেস, রাশিদা তালিব, আইয়ানা প্রেসলি ও ইলহান ওমর। এদের মধ্যে প্রথম তিনজনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, একমাত্র ইলহান ওমরই সোমালিয়া থেকে এসেছেন।
এদিকে ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেননি। ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের পর সমালোচনার ঝড় উঠলেও ফার্স্টলেডি কেন চুপ, সেই প্রশ্ন করছেন সমালোচকরা।
ফার্স্টলেডি মেলানিয়ার জন্ম স্লোভেনিয়ায়। মেলানিয়া মডেলিংয়ের জন্য স্লোভেনিয়া ছেড়ে প্রথমে যান ইতালি এবং পরে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কে যান তিনি। সেখানেই ১৯৯৮ সালে ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ২০০৫ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ের পরের বছরই মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন মেলানিয়া।
মেলানিয়ার বাবা-মাও ‘চেন মাইগ্রেশন’-এর (পারিবারিক সূত্রে) সুবাদে মার্কিন নাগরিক। যদিও এখন ট্রাম্প নিজেই পরিবারসূত্রে নাগরিকত্ব দেয়ার নীতির বড় সমালোচক।
আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও করতেস, রাশিদা তালিব, আইয়ানা প্রেসলি ও ইলহান ওমরকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প। তা হলে কি এবার মেলানিয়া ট্রাম্পকেও স্লোভেনিয়ায় ফিরে যেতে বলবেন তিনি?
গত বছর শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেয়ার নীতি কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় সরব হতে দেখা গিয়েছিল মেলানিয়াকে। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেয়ার নীতি মানতে পারছি না। এটি হৃদয়বিদারক। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি মেলানিয়ার মুখে।
Leave a reply