সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আসছে ফেসএ্যাপ এ্যাপ্লিকেশনটি। এরমাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজেই তার বৃদ্ধ অথবা তরুণ অবস্থায় তাকে কেমন দেখাবে তার একটি ইমেজ দেখতে পারেন।
আর এর ফলেই তরুণদের মধ্যে এই এ্যাপ্লিকেশনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে খুব দ্রুতই। তারা আগামী দশকে বা তার পরে তাদের বৃদ্ধ অবস্থার রুপ কিরকম হবে তা বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই তা শেয়ার করছেন তাদের ফেসবুক বা টুইটারের টাইমলাইনে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই এ্যাপ্লিকেশনটির ছবি ভাইরাল হবার পর থেকেই কিছু ব্যবহারকারী এটি ব্যবহারের নিয়ম ও শর্তাবলী নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তারা দাবি করছেন ফেসএ্যাপ কর্তৃপক্ষ এটির ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণ করে তা বিক্রির জন্য ব্যবহার করছে কিন্তু ফেসএ্যাপ কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে ব্যবহারকারীদের আপলোড করা ছবি গুলো ফেসএ্যাপের সার্ভার থেকে ৪৮ ঘন্টার পর স্বয়ংকৃয়ভাবেই মুছে যাচ্ছে ফলে তা সংরক্ষণ করার মতো কোন ঘটনাই ঘটছেনা।
ফেসএ্যাপ কর্তৃপক্ষ আরো বলছে তাদের সার্ভারে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের এডিটেড ছবিই আপলোড করা হচ্ছে কিন্তু তাদের মূল ছবি কোনক্রমেই সংরক্ষণ করা হচ্ছেনা ফলে সেখানে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের মতো ঘটনা ঘটছেনা।
মূলত এ্যাপ ডেভলপার যোশোয়া নোজীর করা একটি টুইটের পর ফেসএ্যাপের পলিসির ব্যাপারটি সবার নজরে এসেছে। টুইটে তিনি লিখেছেন ফেসএ্যাপ কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীদের অনুমতি ব্যতীতই তাদের স্মার্টফোন থেকে ছবি ব্যবহার করছে। তবে ফেস এ্যাপ কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করে আসছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী এলিজাবেথ পট উইনস্টন বলেন ফেসএ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবসায়ীক কাজের জন্যও ছবিগুলো সংরক্ষণ করে থাকতে পারেন, যেমন তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহারকারীদের ছবিগুলো তারা ব্যবহার করতে পারেন।
সাইবার গোপনীয়তা বিষয়ক পরামর্শদাতা প্যাট ওয়ালশ বলেন, তারা তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীদের ছবি সংরক্ষণও করতে পারে। সেক্ষত্রে আপনি যদি আপনার ছবি তাদের বিজ্ঞাপনে না দেখতে চান সেক্ষেত্রে এটি ব্যবহার না করাই উত্তম।
Leave a reply