যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়া কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনে বুধবার বরিসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেন কেবিনেট সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিনন্দন জানান।
এর আগে বুধবার ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
পার্লামেন্টে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই রানীর সঙ্গে দেখা করতে বাকিংহাম প্যালেসে যান বরিস। পথে শত শত বিক্ষোভকারী তাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।
এরপর ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে এর বাইরে ভাষণ দেন বরিস। এর আগে এখানে বিদায়ী ভাষণ ও পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এদিন মে সরকারের বেশ কয়েকজন কেবিনেট সদস্য পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে রয়েছেন চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ডও।
পার্লামেন্টে থেরেসা মে বলেন, আমি পার্লামেন্টের একজন সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাব। বরিস জনসনের মতো একজনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পেরে আমি খুশি, যিনি যথাসময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) এবং দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোটে মঙ্গলবার দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন। তিনি ৬৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
দলের নেতৃত্ব ছাড়ার সময়ই থেরেসা মে বলেছিলেন, নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরদিনই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
Leave a reply