রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব রটনাকারী রিয়া খাতুন ও প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লার স্বীকারোক্তিমূলক শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার হৃদয় ও রিয়া জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় বৃহস্পতিবার মুরাদ মিয়া, মো. সোহেল রানা, মো. বিল্লাল, মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. রাজু নামের পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া ও মো. বাপ্পি গত ২২ জুলাই চারদিনের এবং গত ২৩ জুলাই মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অপর গ্রেফতার আসামি জাফর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
Leave a reply