দুর্নীতির দুই মামলায় নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ মো. শওকত চৌধুরীকে দুই মাসের মধ্যে ৫ কোটি টাকা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ। আর টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাঁর জামিন বাতিল হবে।
গতকাল রোববার সাংসদ শওকতের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আজ সকালে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি ও যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে ১২০ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে দুদকের। ২০১৬ সালের মে মাসে এই মামলা করা হয়।
এরআগে গত ২২ অক্টোবর শওকত চৌধুরীকে ৫০ দিনের মধ্য ২৫ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে ব্যর্থ হলে নিম্ন আদালতে তাঁকে দেওয়া জামিন বাতিল হবে বলে উল্লেখ করেন আদালত। এরপর হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সাংসদ শওকত। এর ধারাবাহিকতায় সাংসদ শওকতের আবেদনটি গত ১২ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। পরে তার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ ডিসেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
Leave a reply