সৌদি আরবের বিশিষ্ট আলেম সালমান আল আওদা’র বিচার প্রক্রিয়া কয়েকমাসের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। আজ রোববার সালমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আওদা এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ লিখেছেন, “আমার বাবাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়নি। শুনানি পর্ব স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আবারও শুনানি হবে।”
মাস ছয়েক স্থগিত রাখার পর আজ রোববার ফের শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেলের দেয়া তথ্য মতে, আজ তাকে আদালতে আনা হয়নি।
এদিকে সালমান আল আওদাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সিএনএন জানিয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলিরা তার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ করা হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আওদার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতেই এই বিচার করা হচ্ছে।
নব্বইয়ের দশকে মুসলিম ব্রাদারহুড সংশ্লিষ্ট ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আটক হওয়া ২০ ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন। অতিরক্ষণশীল সৌদি আরবে ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনের অংশ ছিল ওই আটকাভিযান।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এক সময়ের পরামর্শক ছিলেন দেশটির প্রখ্যাত আলেম শেখ সালমান আল-আওদা। এখন তাকেই আটকে রেখে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে।
শেখ সালমান আল-আওদার কাছে যুবরাজের সালমান নানা সময়ের রাজনীতির নানান পরামর্শ নেওয়ার কথা জানান ছেলে আবদুল্লাহ আলাউদ। তিনি ২০১২ সালের এক ঘটনার বর্ণনা করে সিএনএনকে বলেন, নিজের বাড়িতে বসে আছেন শেখ সালমান আল-আওদা। ওই সময় সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান আল-আওদার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ভবিষ্যৎ প্রিন্সের আসার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বাবা। তখনকার ২৭ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মদ সালমান ক্যারিশমাটিক ধর্মপ্রচারকের চরম ভক্ত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
Leave a reply