রাজবাড়ী জেলার একটি খামারে বেড়ে উঠেছে ফ্রিজিয়ান জাতের ২৫ মণ ওজনের এক ষাঁড়। বিশাল আকৃতি ও শরীরের রং কালো হওয়ায় খামারি ভালোবেসে তার নাম দেন ‘কালা পাহাড়’। ইতোমধ্যে কালা পাহাড়ের দাম উঠেছে ২০ লাখ টাকা। ষাঁড়টির এমন বিশাল আকৃতির খবর শুনে প্রতিদিনই তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন ক্রেতারাও।
কালা পাহাড়ের বর্তমান ঠিকানা রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারী খামারি নিলুফার বেগমের বাড়িতে। পরম মমতায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে তিনি কালা পাহাড়ের যত্ন করে আসছেন। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য ও নিয়মিত যত্নে ধীরে ধীরে এমন বিশাল হয়ে উঠেছে ষাঁড়টি।
খামারি নিলুফার বেগম জানান, তার খামারে বর্তমানে কোরবানির উপযোগী ১৫টি ষাঁড় রয়েছে। প্রতিটি গড়ে ১৫ মণ ওজনের। এদের মধ্যে কালা পাহাড়ই সবচেয়ে বড়। নিলুফার বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ৪০ কেজি কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, ধানের কুঁড়া, মোটা ছাল ও খড় খেতে দেওয়া হয় কালা পাহাড়কে। দিনে কমপক্ষে তিনবার গোসল করাতে হয়। নিয়মিত পশুচিকিৎসকের পরামর্শেই চলে কালা পাহাড়ের দেখাশোনা। এখন পর্যন্ত এর দাম উঠেছে ২০ লাখ টাকা। তবে কোরবানির ঈদের আরও কিছু দিন বাকি আছে। তাই দেখি কত দাম হয় কালা পাহাড়ের।’
পাংশা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. প্রভাস চন্দ্র সেন জানান, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও পাংশায় কয়েকশ খামারে কোরবানির পশু লালন-পালন করছেন খামারিরা। নিয়মিত খামারিদের নানাবিধ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আর বিশাল আকারের কালা পাহাড়ের প্রতি সব সময় নজর রাখা হয়েছে। উন্নত জাতের এই গরুটি প্রাকৃতিক উপায়েই বড় করেছেন খামারি।’
Leave a reply