পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। তবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষার কিট না থাকায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা (এনএসওয়ান) মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৫৩ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। বর্তমানে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬ জন রোগী নতুন ভাবে ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে।
এছাড়া কলাপাড়ায় -১, বাউফলে ৬ জন, মির্জাগঞ্জের ২ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে আরও ৫ জন নিজ নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন জানান, গত শুক্রবার ডেঙ্গু রোগ নিয়ে পটুয়াখালী এসেছেন। এসে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তবে হাসপাতালে কোন প্রকার টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় বাহিরে বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা করেছেন। তিনি জানান, আমি একজন শ্রমিক মানুষ একদিকে আয় নেই।
অপর দিকে, ধার করে টাকা এনে চিকিৎসা ও পরীক্ষা করা লাগছে। আক্ষেপ করে বলেন, সরকার ফ্রি পরীক্ষার ও ঔষধের ঘোষণা দিলেও আমরা তা কিছু পাই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের এক প্যাথলজিষ্ট জানান, গত ১লা আগস্ট ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা (এনএসওয়ান) মাত্র ৩০ টি কিটস দেওয়া হয়েছে । এছাড়া ডেঙ্গু আইজিজি আইজিএস কিটস -১০০ পিচ ও চিকন গুনিয়া কিটস ১০০ পিচ কুরিয়ারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠিয়েছে। এরমধ্যে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা (এনএসওয়ান) কিটস শেষ হয়েছে। ডেঙ্গু আইজিজি আইজিএস কিটস শেষ পর্যায়ে।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জেলায় অল্প সংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে। ১৬ জুলাই থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত মোট ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। বর্তমানে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১জনকে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন।
তিনি আরও জানান, সরকার থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত কিটস সরবরাহ করা হয়নি। ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা (এনএসওয়ান) মাত্র ৩০ টি কিটস দেওয়া হয়েছে । যা আমার হাসপাতালে পর্যাপ্ত না। তিনি আরও জানান, গতকাল রাতে মেইলে আসছে বিনামূল্যে সরকার থেকে কোন কিটস দেওয়া হবে না।
সিনিয়র স্টাফ নার্স শরিফ আফরোজ বলেন, আমরা রোগীকে সাধ্যমত সেবা দিয়ে থাকি। হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট (এনএসওয়ান) না থাকায় পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে রোগী বেসরকারি ক্লিনিক থেকে টেস্ট করছে। অপরদিকে,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের এক প্যাথলজিষ্ট জানান, বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা (এনএসওয়ান) কিটস নেই। ওরা ডেঙ্গু আইজিজি আইজিএস কিটস দিয়ে ভুল রিপোর্ট করে প্রতারণা করেছে।
Leave a reply