কাশ্মিরের স্পেশাল স্ট্যাটাস প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়ে এবং রাজ্যটিকে দিখণ্ডিত করার মাধ্যমে বিজেপি ভারতের সংবিধানকে হত্যা করেছে বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ।
কাশ্মিরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা কোনো সাধারণ দিন নয়। ঐতিহাসিক কিছু ঘটে গেল। যা করা হয়েছে তার কঠোর নিন্দা জানাই। আমরা ভারতের সংবিধানের পক্ষে লড়াই করবো। আজ বিজেপি সংবিধানকে হত্যা করলো।”
এর আগে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরকে দুইভাগে ভাগ করার প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ সকালে সংসদে ‘জম্মু ও কাশ্মির রিঅর্গানাইজেশন বিল ২০১৯’ নামের এই বিলটি উপস্থান করা হয়। এতে লাদাখ ও জম্মু কাশ্মিরকে আলাদা আলাদা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় অঞ্চলই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা শাসিত হবে। তবে জম্মু ও কাশ্মিরের নিজস্ব একটি আইনসভা থাকবে আর লাদাখের আইনসভা থাকবে না।
রাজ্য ও বিধানসভায় উভয় জায়গায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পাশ হবে এসব প্রস্তাব ও বিল।
এদিকে প্রস্তাব পেশের পর বিশেষ মর্যাদা রদ করার প্রজ্ঞাপনে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেছেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মিরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’; যা ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ পরিচ্ছেদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে তা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাব রাখার সাথে সাথে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী সাংসদরা। তাদের শোরগোলের মধ্যে অমিত শাহের বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল না।
স্পেশাল স্টেটাস এর অধীনে জম্মু কাশ্মির রাজ্যের নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করা সহ, স্থাপবর সম্পত্তির মালিকানা, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখতো, যা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ছিলো না।
এদিকে রাজ্যসভায় ভাষণ শেষে লোকসভায় ভাষণ দেবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
Leave a reply