বেনাপোল প্রতিনিধি:
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট আমদানির আড়ালে আড়াই টন ভায়াগ্রা আমদানি করার অপরাধে আনিত ভায়াগ্রা জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ সময় জব্দ করা হয়েছে আমদানীকারকের সকল কাগজ পত্র। বেনাপোল বন্দর থেকে জব্দকৃত পণ্য চালানটির পুন:পরীক্ষা হয়েছে বেনাপোল কাস্টম হাউসে বুধবার দুপুরে।
পণ্য চালান টির আমদানীকারক ঢাকার ৪৭/ সি মিটফোর্ড রোডের মেসার্স বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ। যার বিল অব এন্ট্রি নং সি-৩৬৪৯৬ তাং-২৯.৫.১৯,।
পণ্য চালানটির আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান গত ২১ মে ২০১৯ একটি এলসি খোলেন পণ্যটি আমদানি করার জন্য। যার এলসি নং০০০০৯৪৬১৯০১০৩৪২। পণ্য চালানটির প্যাকিং লিস্টে আমদানি করা হয় ২৫০০ কেজি সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট । কিন্তু পণ্য চালানটি জব্দ করার পর পরীক্ষণ করে দেখা যায় সিলডেনাফিল সাইট্রেট(ভায়াগ্রার মুল উপাদান)।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ইনভেস্টিগেশন রিসার্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল জব্দকৃত মালামাল পরীক্ষণ করে বুধবার রিপোর্ট পেশ করেছেন। রিপোর্টে পণ্য চালানটির মালামাল ঘোষণার আড়ালে ভায়াগ্রা পাওয়া গেছে । যা থেকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছিল সাড়ে ১২ কোটি টাকা বলে জানান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ । তবে পণ্য চালানটিতে আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণায় ছিলো সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট । কয়েকবার বুয়েট থেকে পরীক্ষণের পর তার প্রমাণ মেলে উক্ত ২৫০০ (আড়াই হাজার) কেজি পাউডারই আমদানি নিষিদ্ধ সিলডেনাফিল সাইট্রেট(ভায়াগ্রার মুল উপাদান)।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান গোপন সূত্রে সংবাদ পায় একজন আমদানীকারক ভারত থেকে ঘোষণার আড়ালে এ পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দরে নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে কাস্টম হাউসের একটি প্রতিনিধিদল বন্দরের সেড থেকে পণ্য চালানটি জব্দ করেন। পণ্য চালানটির সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিলেন মেসার্স সাইনী শিপিং সার্ভিসেস। লাইসেন্সটি সাময়িক বাতিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বুধবার জয়েন্ট কমিশনার শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
Leave a reply