বরিশাল ব্যুরো:
বরিশালের বানারীপাড়ায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় এক লেগুনা চালককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বানারীপাড়া উপজেলার পৃথক দুই স্থানে কিশোরীকে দুই দফা ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় আটক লেগুনা চালক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামে।
বানারীপাড়া থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের ওই কিশোরী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নানা বাড়ি আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট এলাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল সে। তার বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার গাওখালী গ্রামে।
সন্ধ্যায় পয়সারহাট থেকে ট্রলার যোগে বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ঘাটে পৌঁছায় সে। সেখান থেকে লেগুনায় চড়ে তার গন্তব্য ছিল উপজেলার তালুকদার উলা খেয়াঘাট। কিন্তু ওই কিশোরীর কাছে লেগুনার ভাড়া দেয়ার মত টাকা ছিল না। তাই লেগুনা চালক আব্দুর রাজ্জাকে বিনা ভাড়ায় তাকে তালুকাদার উলা খেয়াঘাটে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানায় কিশোরী। এতে রাজি হয়ে তাকে লেগুনায় তোলে চালক রাজ্জাক। কিন্তু কিশোরীকে তালুকদার উলা খেয়াঘাটে না নিয়ে, তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় জনতা বাজার সংলগ্ন রাজ্জাকের চাচাতো ভাইয়ের পরিত্যক্ত ঘরে। সেখানে ওই কিশোরীকে প্রথম দফায় ধর্ষণ করে রাজ্জাক।
ধর্ষণ শেষে রাত ১০টার দিকে খেয়াঘাটে পৌঁছে দেয়ার জন্য মাসুমের লেগুনায় তুলে দেয়া হয় ওই কিশোরীকে। কিন্তু তাকে খেয়াঘাটে না নামিয়ে লেগুনা স্ট্যান্ডে একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আটকে রেখে চালক মাসুম ও হেলপার রমজান রাতভর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওসি আরো জানান, বুধবার সকালে ওই কিশোরী স্থানীয়দের কাছে ধর্ষণের কথা জানালে তারা লেগুনা চালক রাজ্জাককে আটক করে। রাজ্জাক ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
ওসির দাবি, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর কথাবার্তা অনেকটা অসংলগ্ন। তাই তার বাবার খোঁজে গ্রামের বাড়িতে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তিনি আসলেই মামলা রেকর্ড করা হবে বলে জানান ওসি।
Leave a reply