পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র দু’দিন বাকি। রাজধানীসহ সারা দেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কোরবানি হাটে আসছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। থাকছে মাফিয়া ডন। আরও আছে বাহুবলী। ক্রেতা আকর্ষণে এমন সব নামেই হাটে আসছে কোরবানির পশুগুলো।
১৫ থকে ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ সব আকর্ষণীয় ও বাহারি নামের গরু। তবে শুধু আকর্ষণ আর বাহারি রঙ-চং দেখেই নয়, গরুর সুস্থতা নিশ্চিত করেই কেনার পরামর্শ পশু বিশেষজ্ঞদের।
চাহনি আর গায়ের রঙের কারণেই নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প নাম রাখা হয়েছে। কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত করা ১২শ’ কেজির এই গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ লাখ। একনজর দেখতে তাই ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। সেলফি তুলতে ভোলেননি অনেকে।
হেলে-দুলে নিজের ভঙ্গিতে হাঁটাচলা পছন্দ ডনের। কোরবানির হাটে খুব শিগগিরই দেখা মিলবে তার। তার দেখাশোনায় কোনো কমতি রাখছেন না পরিচর্যাকারীরা।
ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, এবার হাটে পর্যাপ্ত গরু। এর দুটি কারণ- প্রথমত, দেশে প্রচুর গরু উৎপাদন হয়েছে এবং দ্বিতীয়ত, দেশের বিশাল এলাকায় এবার বন্যা হয়েছে। সে কারণে ওইসব এলাকার মানুষ খাদ্য ও অবকাঠামোগত সমস্যায় গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে দামও কম।
রাজধানীর কমলাপুর কোরবানির পশুর হাটে তোলা হয়েছে সাড়ে ২৭ মণ ওজনের বিশাল দেহী একটি ষাঁড়। বিক্রেতা এর নাম রেখেছেন ‘বাহুবলী’। ষাঁড়টি সব ক্রেতা-বিক্রেতার নজর কাড়ছে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ‘এফ অ্যান্ড এফ এগ্রো ফার্ম’থেকে আনা হয়েছে ষাঁড়টি। ক্রেতাদের কাছে ১৩ লাখ টাকা হাঁকা হচ্ছে ষাঁড়টির মূল্য।
এফ অ্যান্ড এফ এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী ফিরোজ হাসান অনিক বলেন, ‘শুধু কোরবানি ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাঁচ বছর ধরে সন্তানের মতো করে এ ষাঁড়টি লালন-পালন করেছি। আমার খামারের সবচেয়ে বড় দুটি গরুর মধ্যে এটি একটি। এর জন্য দাম চাচ্ছি ১৩ লাখ।’
ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাহুবলী। ষাঁড়টি দেখতে হাটে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষেরা ও বেশ কয়েকজনকে ষাঁড়টির সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে।
এখন পর্যন্ত কেউ ষাঁড়টি কিনতে এসেছেন কিনা বা কত দাম বলেছে সে প্রশ্নে ফিরোজ হাসান অনিক বলেন, ‘হা অবশ্যই। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলেছেন ক্রেতারা। তবে ১৩ লাখ টাকা হলে বিক্রি করব আমি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’
Leave a reply