তরুণ তুর্কি মাহমুদুল হাসানের ১৩৪ বলে ১০৯ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস জয় এনে দিতে পারেনি বাংলাদেশকে।
ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল ছাড়া আর কেউ বড় রান সংগ্রহ করতে পারেননি। যার ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে ৪ উইকেট খুইয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারতীয় যুবারা।
গতকাল হোভের কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজের করে নিল ভারত। ত্রিদেশীয় এই সিরিজে অংশ নিয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ।
লিগের মোট ৮টি করে ম্যাচ খেলার পর ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় ভারত এবং বাংলাদেশ। টাইগার যুবাদের জন্য ছিল আজ শিরোপা জয়ের হাতছানি। লিগ পর্বে একবার ভারতীয় দলকে হারিয়েও ছিল তরুণ টাইগাররা।
কিন্তু ফাইনালে এসে ভারতের কাছে পরাস্ত হতে হলো বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে। বাংলাদেশ দলে একজন সেঞ্চুরিয়ান থাকলেও ভারতীয়দের কেউ সেঞ্চুরির দেখা পায়নি। তবুও ৮ বল হাতে থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
কেননা এদিন ভারতীয়দের যেই মাঠে নেমেছেন ভালো রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।
ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ও ৬৪ বলে পারভেজ হোসেন ইমনের ৬০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় সব উইকেট হারিয়ে ২৬১।
দলে দু’অঙ্কের ঘরে পা রেখেছেন শামিম হোসেন ও তানজিদ হাসান। বাকিরা কেউ দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। শামিম ৩২ ও তানজিদ ২৬ রান করেন।
কারণ উইকেটে সেট হওয়ার আগেই বাংলাদেশের চারজন ব্যাটসম্যান রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ভারতের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন কার্তিক ত্যাগি ও সুশান্ত মিশ্র। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রবি বিষ্ণোই ও শুভাং হেজ।
২৬২ রানের টার্গেট ছুঁতে মাঠে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তুলে ম্যাচ নিজের করে নেয় ভারতীয় যুবারা।
অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ ৬৬ বলে ৭৩ রান ও যশস্বি জসওয়াল ৫০ ও দিব্যাংশ সাক্সেনা ৫৫ রান করেন। ধ্রুব জুরেল ৫৯ ও তিলক বর্মা ১৬ রান করে অপরাজিত থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যান।
৫৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং শরিফুল ইসলাম।
Leave a reply